করোনা পরিস্থিতির কারণে পরিচালন বাজেটের আওতায় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ ছাড়ের পদ্ধতি সহজ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর ফলে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থারগুলোর জন্য বরাদ্দ করা চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আগাম সম্মতি নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এ বিষয়ে সম্প্রতি অর্থ বিভাগ থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সংশোধিত কর্তৃত্ব অনুযায়ী মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে পরিচালন বাজেটের আওতায় সাহায্য মঞ্জুরি হিসেবে প্রদত্ত বরাদ্দের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের/প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কোনো সম্মতির প্রয়োজন হবে না। বরাদ্দ করা অর্থ স্বয়ক্রিংভাবে ছাড় হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি ব্যবহার করতে পারবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিপত্রের বিষয়ে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা গতকাল এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘যেকোনো স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তার পরিচালন ব্যয়ের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় করার আগে অর্থ বিভাগ ও স্ব স্ব প্রাতিষ্ঠানিক মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখন দেশব্যাপী লকডাউন চলছে। সর্বাত্মক এই লকডাউনে অফিস, আদালত, পরিবহনসহ সবকিছু বন্ধ। এ পরিস্থিতিতে অর্থ ছাড় করার জন্য স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের স্বশরীরে এসে অর্থ ছাড় করার কোনো সুযোগ নেই। তাই স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য পরিচালন ব্যয়ের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে সম্মতি নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল তা এবার তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে এখন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ বিভাগের সম্মতি ছাড়াই পরিচালন ব্যয়ের চতুর্থ কিস্তির অর্থ খরচ করতে পারবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।